ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে বিসিএস পরীক্ষা দিতে আসে ইমরান হোসেন। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগেই ওই শিক্ষার্থী মাটিতে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরবর্তীতে বেশ কিছুদিন আইসিইউতে থেকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন সেই শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৩ জুন) আইসিইউতে রাত ১২.৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
বিডি২৪লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থীর ভাই শিমুল হোসেন। তিনি বলেন, রাত ১২.৩০ মিনিটে নিউরো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমরানের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, মৃত্যুর পর রাত ৩ টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমরা ইমরানকে নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়ি যশোরের দিকে রওনা হয়েছি। শিমুলের বাসা যোশর জেলার শার্শা উপজেলায়। দুপুরে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিতা খন্দকার বিডি২৪লাইভকে বলেন, খবরটি শোনার পর মনে হচ্ছে আমার নিজের সন্তান মারা গেছে। খুবই কষ্ট হচ্ছে। মেনে নিতে পারছিনা যে এই বয়সে ইমরানের মৃত্যু হব।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অনেক স্বপ্ন থাকে, থাকে অনেক আশা আকাঙ্ক্ষা। সেইসব স্বপ্নগুলো পূরণের আগেই ইমরানের মৃত্যু হলো। এটা আসলেই দুঃখজনক এবং অনেক কষ্টের। তবে মৃত্যুকে মেনে নিতেই হবে। তার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, বিসিএস পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিতা খন্দকারের সহায়তায় পুলিশ ভ্যান ডেকে আনা হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিউরো নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে তার পরিবার। অবশেষ সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইমরান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগে অধ্যয়ন করেন।